সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

অনন্ত সুজন

রতিপুষ্প


ছায়া বিনিময় হয় নির্জন নিধুবনে—তাই
রাত্রির ক্যামেরা দৃশ্য শিকারে দক্ষ জাদুকর
অবশ্য নিবিড় রোমন্থন অনুরূপ ভ্রমণের
পুলক সঞ্চার ও প্রদানে প্রায় সমান উপভোগ্য!
আবার কখনো, ধারনার অনেক উঁচুতে
পৌঁছে গেলে মেঘের অন্তরালে নিখোঁজ হওয়া
বিমানের উদাহরণ তাসের আসর জমায়।
পৃথিবীর তিন ভাগ জল ঘুরে এসে দেখি—
স্থলের উপরিভাগে উড়ছে নিষিদ্ধ নিশান!
অবদমনের অস্ফুট আর্তিতে ব্যাকুল বিরহবাতাস
ঘামের সমুদ্রে ভাসে পারফিউমভর্তি জাহাজ!

ঘড়ি


যে আমায় রাত-জাগা শেখালো, সে'ই বলে—
চলো, ঘুমাতে যাই! এই গান গুঞ্জরিত হলে,
নড়ে ওঠে গ্রহের কাঠামো, অদেখা ওই পল্লবিত
ঘ্রাণের বাগান। সে এক মুহূর্ত বটে, অর্বুদপ্রেমে
চূর্ণ মুখশ্রীমদিরা, নেশা ঝলমল বদ্বীপে লণ্ঠনের
জাদুকর! আহা, পরাভূত জ্যোৎস্নার হাড়
কী ভীষণ গলে যায় শুধু!


মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।