নাচনী এবং নাটুয়া
অপভ্রংশ:
ধামসা বাজে দ্রিম দ্রিম
মহুয়ার গন্ধে ঝুমুরের উদ্দাম
নড়েচড়ে উঠে লাভা প্রতিমা
পরাগের রেণু, চোখ, ভস্মময় মাটি
নাড়ি, খুলি, হাড়, এই ফুসফুস, রক্তনালী
খিলানে জমা দীর্ঘশ্বাসের ধূলি
মালশায় আগুন আর ঘি
সংকর ধাতু:
ডানায় লাগছে জোয়ার
লোহিতকণিকায় উড়ন্ত ঈগল
চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে ঠোট আর নাকের কোটরে
মৃগনাভির গন্ধে মাতোয়ারা
জ্বলছে জোনাকি বসন্ত সহবাসে
স্নায়ুর ঝিল্লি আঠালো প্রেমের কুসুমে
মূর্ছনায় ময়ূরের নাচ
বালুচরী কারুকাজ
রৌদ্রের সুরমা
শিয়রের যতিচিহ্ন ছিঁড়ে স্বপ্ন সঞ্চারণ
লকগেট খুলে পাখনার উড়ান
মরুর বালিয়াড়ী কুঠুরী ষড়ঋতুর শান্তিনিকেতন
জীবনের খনিজই তাই দিয়েছে টান
যুগলবন্দি:
টানা স্লেটে কষ্টে পোড়া কয়লায় লিখি
যুগলবন্দির ‘অ আ’
অ-তে অধরা
আ-তে আকাশ
আর দেখো উঠানে হাজার হাজার জালালী কবুতর
উষ্ণতা তো তোমার হৃদয়ের মধ্যমা বরাবর
ধামসা বাজে দ্রিম দ্রিম
মহুয়ার গন্ধে ঝুমুরের উদ্দাম
নড়েচড়ে উঠে লাভা প্রতিমা
পরাগের রেণু, চোখ, ভস্মময় মাটি
নাড়ি, খুলি, হাড়, এই ফুসফুস, রক্তনালী
খিলানে জমা দীর্ঘশ্বাসের ধূলি
মালশায় আগুন আর ঘি
সংকর ধাতু:
ডানায় লাগছে জোয়ার
লোহিতকণিকায় উড়ন্ত ঈগল
চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে ঠোট আর নাকের কোটরে
মৃগনাভির গন্ধে মাতোয়ারা
জ্বলছে জোনাকি বসন্ত সহবাসে
স্নায়ুর ঝিল্লি আঠালো প্রেমের কুসুমে
মূর্ছনায় ময়ূরের নাচ
বালুচরী কারুকাজ
রৌদ্রের সুরমা
শিয়রের যতিচিহ্ন ছিঁড়ে স্বপ্ন সঞ্চারণ
লকগেট খুলে পাখনার উড়ান
মরুর বালিয়াড়ী কুঠুরী ষড়ঋতুর শান্তিনিকেতন
জীবনের খনিজই তাই দিয়েছে টান
যুগলবন্দি:
টানা স্লেটে কষ্টে পোড়া কয়লায় লিখি
যুগলবন্দির ‘অ আ’
অ-তে অধরা
আ-তে আকাশ
আর দেখো উঠানে হাজার হাজার জালালী কবুতর
উষ্ণতা তো তোমার হৃদয়ের মধ্যমা বরাবর
[নাচনী: নাচনী নাচ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলা, উড়িষ্যা ও ঝাড়খণ্ডে প্রচলিত এক লোকনৃত্য বিশেষ। নাচনী নাচ ঝুমুর গানের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই নৃত্যে সুস্পষ্ট মুদ্রার ব্যবহার না থাকলেও হস্তক, চারী, ভ্রমরী প্রভৃতি ঠাটের লক্ষণ রয়েছে। আসরে উপস্থিত রাধা ও কৃষ্ণের যুগল মূর্তিকে প্রণাম করে আসর বন্দনার মাধ্যমে নাচ শুরু হয়। নাচনী নাচের গানগুলির প্রধান রস শৃঙ্গার এবং রাধা কৃষ্ণ লীলা মূল বিষয়বস্তু। একটি তিন ফুট উচ্চয়াত্র পনেরো থেকে পঁচিশ ফুট ব্যাসার্ধের এক গোলাকৃতি বেদীতে নর্তকীরা নাচ করে থাকেন। এই নৃত্যে ঢোল, মাদল, সানাই, শিঙ্গা, কারহা, কেড়কেড়ি প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নাচের দল সাহারণতঃ পাঁচ থেকে কুড়ি জন নিয়ে গঠিত হয়। দলের প্রধান পুরুষকে বলা হয় রসিক বা রসক্যা এবং নর্তকীদের বলা হয় নাচনী। নাটুয়া: নাটুয়া নাচ বা নাটা নাচ বা লাটা নাচ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় প্রচলিত এক লোকনৃত্য বিশেষ। সাধারণতঃ বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত এই নাচের আসর বসে। নাটুয়া নাচ পৌরুষ দৃপ্ত নৃত্য বিশেষ। এই নাচের মূল লক্ষ্য দৈহিক শক্তির প্রদর্শন। সুদৃঢ় বলিষ্ঠ পদসঞ্চার ও অঙ্গবিক্ষেপের মাধ্যমে ঢাল ও তরোয়াল দিয়ে আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক ভঙ্গীতে খেলা প্রদর্শন এই নাচের বৈশিষ্ট্য। এই নাচে দেহ সুগঠিত ও বলিষ্ঠ হওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়।]
মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।