সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

হাসান রোবায়েত


মুখ


এখানে জলের পরে জল
শুয়ে আছে মনোভাব হয়ে
অপ্রতীম বেদনার দিকে
অনায়াসে ধীর পরাজয়ে
যদি তার ঢেউগুলি টানে
মুখের মানুষ থেকে বেশি
বলো তবে ভাঙা আবহাওয়া
টারবাইনের প্রতিবেশী।
নিজের শরীরটুকু ছুঁয়ে
ঘুমিয়ে পড়েছি কতদিন
এই রাত অনন্ত আর্মার !
বাতাসে ভাসছে মরফিন।
আমার ব্যাধির পাশে লুপ
ঘুরে ঘুরে সহস্র বিলাপ
মানুষ: একাকী বয়ে যাই
আজীবন-গাঁথা এপিটাফ—

সূর্যগ্রহণ


তবু বালির দিকেই উড়ে যায় আমাদের সমুদ্রসন্তাপ
আনে চৈত্রপতনের হাওয়া
আসন্ন ইটের ছায়ায় যারা নখ কাটে
অনন্তর ফলগুলি রুয়ে দেয় রঙের স্বভাব

যদি কুম্ভ রাশির দিকে হেলে পড়ে তারা
তবে হে ফলন্ত এনামেল, একটি দেখার উপর
থেমে যাবে রেটিনার ছায়া
তখন ট্রিগারও বাক্সময়, পিস্টনে পারাবত নিয়ে
সূর্যগ্রহণের দিকে
আছে আভূমি তাকিয়ে থাকা—

যাত্রীছাউনি


ছিল কারমেল আশ্চর্য বগলের নিচে
—হালকা লোমের
ক্রমশ ব্রিজ থেকে উড়ে আসা জুঁই
তুমিও পেতে পারো ভাঙা হারিকেন
যেরূপ ঘোড়ার কেশর উঁচু মাধবীর দিকে
বাড়ায় ডিলেমা—

হয়ত ফুল চর্বির থেকেও বেশি পরশ্রীকাতর
অথচ দুপুর—
শিশুরা যাত্রীছাউনি ভেবে জড় করে পীঠ
নিঃশব্দ সিনেমার দিন
আধুলির সমান রোদে তলিয়ে যাচ্ছে ধীরে!


মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।