সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

অরবিন্দ চক্রবর্তী

মুখোশনাচ


রঙের ব্যবহার ছড়িয়ে ছায়া নাচ করে
আমি ছোবল থেকে মুক্তি চাই...

দৃশ্য দেখি, স্রোতে ভেসে যায় কারো মায়া— মাথার মুকুট
খসে পরে তোমার সকল মহিমা, মুখোশ।

স্ট্যাচুর মাথায় টোপরপরানো সূর্যোদয়,
তোমাকে বলা যায়— আমি আহ্লাদিত, স্বপ্নদুষ্ট নই
এবার যে কোনো শাড়িহিন রাত্রিকে কোলবালিশের পাশে শুয়ে যেতে বলা যায়।

কিছু ঘুমপোকা ছিপি খুলে ভূতুম-পায়ে এগিয়ে এসে
আমাকে ব্র্যান্ডি ওয়াইনে বুদ হতে নির্দেশ করে...

সবুজ অক্সিজেন সরবরাহকারি এক সনাতন নাচুনেকে তখনো দেখি
গোপন প্রমিজ ডোবানো ফোয়ারাতলে
বেঁচে থাকার বাসনায় রক্ত ধুয়ে যাচ্ছে স্নানঘরের অন্যান্য মুদ্রামগ্নতায়।


সাহস


তাস খেলা বাদ দিয়ে যারা যুদ্ধ করেন
জনৈক দার্শনিক তাদের পরামর্শ দিলেন,
‘আস্ত জীবন নিয়ে বাঁচতে চাইলে
জুয়া খেল, জুয়া খেললে আয়ু বেড়ে যায়।’

পরমাত্মাকে ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে লাগাম দিলাম ছেড়ে
মজা হল বেশ, বাতাসকে দিলাম প্রাণ
জীবনের সাহস দেখে ঘোড়াতো আমার ছুট।

আরবের ঘোড়া এসে চম্পট—  দেখা দেয় এশিয়ায়
আস্তাবলে কেউ থাকে না
থাকে শুধু হরতনের উল্লাস ও আফিমখোরের হাপিত্যেস।


জীবন


ভঙ্গি করে তাকিয়ে আছে জীবন। জীবনের ওপরে আকাশ বহিয়া যায়...

ছাদের নিচে যে কটা প্রাণ বসত করে, সিঁড়ি মাড়াবার জ্বালায়
তোমাকে ভালোবাসবে বলে তারাই তীর-ধনুকের আয়োজন করে।

ছুটে আসে হাওয়া। ওদিকে সংবাদ রটে যায়, আমি চাঁদের নিচে ঘোড়া দাবড়াই।
সংগত এগিয়ে আসে কার্নিশ, ঝুলে পড়ে আমাদের নিয়তির যত উপমা।

তখন বোঝা যায়, মৃত্যু বিষয়ক যতসব অকথ্য ব্যাপার
পৃথিবী বাইরের গোপনে থাকে- থাকতেই পারে।

তবে সকলেই জানেন, আকাশ নামটা রাষ্ট্রের কাঁটাতারকেও মিথিক্যালি নিকুচি করে।


মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।