সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

মিছিল খন্দকার



দৃশ্যের বীভৎস নন্দন


প্রাসঙ্গিক অনিচ্ছায়
মৌন থাক দুপুরের প্রকৃত কারণ।
দাঁতে নখ কাটার উদাসিনতা
সূর্য ডোবার আগে কিছুটা বিষণ্ন থাক,
এতে তার অধিকার আছে।
দুঃখ থেকে কান্না ছেঁটে নিয়ে
এই বসে থাকার সমূহ ভার
নিয়ে সাবলীল নদীর আঁধারে
তরঙ্গ তুলে ডুবছে নুড়ি
আমার করতল থেকে তাকে ছুড়েছে যে কে
বেখেয়ালে!
তার ভাবনায় যে নৈরাজ্যময় গুঞ্জরণ
জলের তুমুল ক্রোধে তাতে জ্বলুক আগুন মোহনায়
কেননা দৃশ্যের নন্দন নিয়ে কী বিভৎস দাবানলে
পুড়ে গেলে বন
কেউ কেউ ছবি তুলে রাখে!

কান্না


অর্ধপরিচিতের সামনে কোনো বিমূর্ত কারণে মুষলধারায় কান্নার পর যেমন লাগে তেমন একটা লাগা বহুকাল হলো জাপটে ধরে আছে। দূর থেকে লঞ্চের ভেঁপু আসবে, মৃত্যুর মতো অনতিদূরের বিষণ্ন ভেঁপু- নদীর এমন নিকটে একটা নির্জন বাড়ির কথা ভাবি মাঝে মাঝে। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি। খোলা শষ্যক্ষেতে রাতে চোখ দু'টো খুলে পড়া কৃষকের অস্থির হাতড়ানো দু'টো হাত তখন বুকের মধ্যে নড়াচড়া করে। তার আঙুলে বাজা কম্পিত ব্যথায় আমার ঘুম ভেঙে যায়। রাতকে তখন আবারও অর্ধপরিচিতের মতো মনে হতে থাকে। নিজেকেও মনে হয় অপরিচিত। নিজের সামনে তখন হাউমাউ করে কাঁদতে আমার কেমন যে লাগেরে মিথুন!



মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।