সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

মাজুল হাসান



সাইকেল তবু বসন্তবাহক


১.
চেনা পথেও ছায়াগিমিক। অচেনা নারীর ভজনা হলো শুধু
এখন বৈভবজুড়ে পতন, কাকচক্ষু জল, ইস্পাত-ফুল ধূধূ
চাইলে চলে যেতে পারি সুগোলের বাড়ি, মেরু-বিচ্ছূরণসম
হয়েছি রঙান্ধ, চিনতে পারিনি কথা বলা পাখি—প্রণয়সম্ভার
গান গায় ক্রিস্টালের পাখি, ধনুকের ছিলা, আহত হুঙ্কার
আমার সম্বল তাই ডানাবিদ্বেষ, পাথর, স্মৃতিকর্পূর ক্ষম ক্ষম
যে কুঠার সবুজ চিবায়; তারও শরীরে বৃক্ষ-বৃক্ষ শোক
উঠেছে খড়ি, বেয়ারিংয়ে জং—সাইকেল তবু বসন্তবাহক...

২.
বাজো খঞ্জন—চেনা নারীর বুকে গড়াক অপরিচিত ফল
দস্যু থেকে নিবিড় রথ হয়ে যাওয়া অলৌকিক সবুজ বন
প্রতিটি মোহহীন লামা-মন্ত্রের সারসংক্ষেপ এই দূরবীক্ষণ
তোমার ত্রয়দশ অবতারের কিংবদন্তিতে গলে গলে জল
একদা বৃক্ষচূড়ে আগুন—অভিমানে পোড়ে সমূহ ফটোগ্রাফ
যেদিকে তাকাই, দেখি—ফুটেছে আনুভূমিক ক্রিসেনথিমাম
বাবার কড়া-পড়া হাত, ঘাম; আমাদের কচ্ছপের গ্রাম
আকাশগঙ্গায় স্মৃতিঝড়। তারাকঙ্কাল খুটে খায় মস্ত জিরাফ...

৩.
গোলাপ-কণ্টকে যাওয়ার কথা ছিল যুগল পাদুকার
যেখানে চুপ-নদীতে পীতসবুজ সম্পর্ক ভীষণ মন্থরে
টিপ্পনী কাটে। জ্বলন্ত বৃষ্টিবিদ্ধ শকট; ঘন শালবীথিকা
এতো পরিষ্কার সবুজ—খুব জোরে প্রেমিকার নাম ধরে
ডাকতে পারি না৷ তবে রুমালে লেখা এইসব ফ্লু'র মৌসুম
সমুদ্রঘটক, প্রেমটুকু শুধু থাক। কৈশোরের পুনর্ভবার
বুকে তইতই করুক গোধূলি-হাঁস। প্রেমাস্পদ আমার
চণ্ডাল সাইক্লোন আইয়ের ভেতর দেখি শ্রান্তির ঘুম...

৪.
যতটুকু নিধি-লাবণ্য তারও অধিক বাষ্পাধার
হিমপ্রত্যুষে নারীর রিনিঝিনি নীরবতার সন্তান
ডুবে থাকে কোমল-অঙ্গার, ব্যালকনির ভগ্নগান
যেখানে পতন সেখানেই লিরিক; তীর্থ-সংসার।
শিখি ভূমিজরিপের যন্ত্র, চুম্বক, অতঃপর জল
লৌহ-গলনাঙ্ক পাঠশালা ওদের, গোত্র ধূলিঝড়
'শ্বাসরোম শ্বাসরোম' স্লোগানে ওড়ে মর্মর-মর্মর
জীবন এক ল্যাবরেটরি—সমুদ্রবাস; রহস্যফল


মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।