আদ্যন্ত
আদিতে নেই অন্তিমে নেই আমার পাশে কেউ দাঁড়াবার;
দরকারও নেই, থাকুক এসব অসঙ্গতি, অসম্প্রীতি।
কী যায় আসে?
আমিই জানি মশলাভর্তি নৌকা ডুবলে আমার বাবার
খাটের পাশেই হুড়মুড়িয়ে পড়ছিল যেই কাঁদার স্মৃতি,
এখন তারা আমার পাশে!
আমিই জানি সন্ধ্যেবেলায় যে-পথ বাড়ির দিকে যাবার,
বুকের মধ্যে আমায় এবং হাঁসের বাচ্চা এবং ভীতি
নিয়ে সে-পথ আমারই মা কোন উপায়ে মাড়িয়ে আসে!
কী যায় আসে!
দরকারও নেই, থাকুক এসব অসঙ্গতি, অসম্প্রীতি।
কী যায় আসে?
আমিই জানি মশলাভর্তি নৌকা ডুবলে আমার বাবার
খাটের পাশেই হুড়মুড়িয়ে পড়ছিল যেই কাঁদার স্মৃতি,
এখন তারা আমার পাশে!
আমিই জানি সন্ধ্যেবেলায় যে-পথ বাড়ির দিকে যাবার,
বুকের মধ্যে আমায় এবং হাঁসের বাচ্চা এবং ভীতি
নিয়ে সে-পথ আমারই মা কোন উপায়ে মাড়িয়ে আসে!
কী যায় আসে!
আত্মরতি
তোমার যে তির
লেগেছে
তোমারই ঘোড়ার গায়ে,
তাকেই
ধনুকে জুড়ছ
কিসের অভিপ্রায়ে;
ঘোড়াকে
যতই বলছ
এটা তার নিয়তি,
সত্যি হলো একেই বলে
আত্মরতি।
লেগেছে
তোমারই ঘোড়ার গায়ে,
তাকেই
ধনুকে জুড়ছ
কিসের অভিপ্রায়ে;
ঘোড়াকে
যতই বলছ
এটা তার নিয়তি,
সত্যি হলো একেই বলে
আত্মরতি।
মাতাল
‘কে চেনো আমায়, আমার বাসায় কে নিয়ে যাবে’—এই দৈব এবং বিষণ্ন কৌতুকটি আমি শুনেছি শুঁড়িখানার সামনে। আলোয়ান জড়ানো সহিস একটি আনতমস্তক ঘোড়ার গাড়িসমেত এসে দাঁড়াল। ইতোমধ্যেই আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম ডানা ও ডমরু। আমার বন্ধুরা ভিড়ের মধ্যে আমায় তুলে অনবরত ছুড়ে মারত—শূন্যের আনন্দ দিতে, তারাই বাজাত করতালি। সেইসব বন্ধুরা একদিন ভাড়া করে এনেছিল মোমের মুদ্রায় নেচে ওঠা পর্তুগিজ নর্তকী—নাচ শেষে যে আমায় প্রেমপত্র লিখেছিল তার ভাষায়। সে-চিঠির মর্মোদ্ধার করতে অনন্তকাল ঘুরে বেড়াচ্ছি ভাষা ইন্সটিট্যুটে...
শুঁড়িখানার সামনে তখন আমার ডানহাতে পর্তুগিজ বর্ণমালা;— বাঁহাতে আমি ইশারা করছি সহিসকে, মাতালকে...শুনতে পাচ্ছি, প্রগাঢ় বিষণ্ন কোনো করোটি হাসছে কোথাও—যে ভঙ্গিতে আমি এতদিন হেসেছি।
শুঁড়িখানার সামনে তখন আমার ডানহাতে পর্তুগিজ বর্ণমালা;— বাঁহাতে আমি ইশারা করছি সহিসকে, মাতালকে...শুনতে পাচ্ছি, প্রগাঢ় বিষণ্ন কোনো করোটি হাসছে কোথাও—যে ভঙ্গিতে আমি এতদিন হেসেছি।
মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।