সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

খন্দকার নাহিদ হোসেন


ভূত


তোমায় বলি না-কাঁধে একসময় দাগটা ছিল
ছিটেফোঁটা রক্ত...এখনো হয়তো
কোন পুরনো জামায়;

আমি আলমারি কোন ঘরে ভুলে যাই
দক্ষিণের বারান্দায় লেবু কাঁটা বুনি
যেই হাত খুব থরথর করে-
তাকে বেঁধে রাখি...বেঁধে রাখি।

অঞ্চলের নাম বুড়ো হয়-ভাঁজ বাড়ে...
আমরাও একটু একটু?

আনাচের হাঁটে দিন হারিয়েছি বলে
সন্ধ্যায় ভীষণ কান্না আসে
ঘাস বাড়বার উঠোনটা যায় ভরে
জংলার পুদিনা হাতায়...
বুঝলে-
আস্তে কাঁপে রাত-আস্তে আস্তে।

আমি কিন্তু এইসব কাউকে বলি-টলি না
মরে যাই...মরে মরে যাই
আর থরথর করা হাত-সেই হাত
বেঁধে রাখি...বেঁধে রাখি;

লোকে শুধু দেখেছিল পুরনো দাগের শার্ট?


ঘোর


কষ্টরা বীরুৎ শ্বাসে গলার ভিতর
হাঁপ ধরে যায়, মনে হয় হাতে ধরা কুটো শিশি
গ্লাস দাও...দাও অসুর বর্ষণ
আমিও বাতাস...বুকে ভরে শুনি-সেই ধুকধুক
নক্ষত্রের ফোঁটা

বন্ধু বলো কিংবা একদিন ভালোবাসা-অনেক সাঁকোতে
বাঁচে; তুই একদিন-তুমি একদিন...
সব তবু ডোবে ইমামবাড়ায়-হোসেনীর বাঁকে?

মানে কী কষ্টের-অনুবাদে কাকে লিখি
ডোকরানো কান্না চুপি চুপি আয়নায়-যে জগতে পুষি
হয়তো তাহাই ঠিক-চোয়ানো শৈবাল হাত
ঘুঙ্ঘুর আড়িকে চেনে, হাতছানি চেনে, আউলানিও...
হয়তো তাহাই শিল্প...বৃশ্চিকের যাদু-
ফোটে না মহান সুখ-ঝুরো রেণু দানা...অনুবাদে;

তোমাদের চরাচরে সেসব কেমন-গলায় ঘাসেরা জাগে?
এতো মৃত্যু, ছুটে চলে যাওয়া...একলা একলা পাখিদের বন
কোথাও কখনো মনে হয়-
তুমি থাকলে আকাশ অন্যরকম হতো?

বন্ধু বলো কিংবা একদিন ভালোবাসা-অনেক সাঁকোতে
বাঁচে; তুই একদিন-তুমি একদিন...ভেক্টরের মান
নক্ষত্রের ফোঁটা?

আমাদের বিস্তৃতিই ধ্রুব-আলাপের কাল, জেগে থাকা
তক্ষক নালিশ...এইসবই সব-রূহ বীজ ছায়া  
কয়েক থিরের আয়ু...নুন পোড়া গুল্মে তাজিয়া মিছিল;
এরই ভিতর টগরে ছুঁড়লে ঢিল দরিয়ারা জাগে...
কিনারায় যায় দেখা-আঘাত মন্দির?

প্রবারনায় কেমন আমি উড়ি...ভেবেছি অনেক
ধুয়ে দিলে বুঝি সাবানও হারায়-প্রেমেদের ছাঁচ
জল তাই সব?
গ্লাস দাও...দাও অসুর বর্ষণ-হয়তো ইহাই শিল্প...
বৃশ্চিকের যাদু-

তোমাদের চরাচরে সেসব কেমন-গলায় ঘাসেরা জাগে?
এতো মৃত্যু, ছুটে চলে যাওয়া...একলা একলা পাখিদের বন
কোথাও কখনো মনে হয়-
আমি থাকলে আকাশ অন্যরকম হতো?


মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।