সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

ফেরদৌস নাহার



প্রতিবিম্বের অনুবাদ


সেই রেললাইন বারবার সেই জলের কাছে, আমার সব মনে আছে
বিকেলের শান্তনীল চোখ জলে ফেলে বসে আছে আকাশ
কেউ একজন হেঁটে আসবে বলে তুমি দৌড়ে গিয়েছিলে
রেললাইন ধরে। আকুল ওলটপালট হয়তো একেই বলে
সে বসন্তে লালজামা গায়ে সবুজ গাছেদের দিকে তাকিয়ে
আন্দামানে উড়ে যাওয়া নির্বাসিত পাখিগুলো বলেছিল-
সব ফাঁকি! জলের ছায়া হাসে, হাসতে হাসতে মায়া বাড়ে
মায়া থেকে উঠে দাঁড়ায় অজানা নৈঃশব্দ্য, ভেসে আসে হুইসিল
প্রতিবিম্বের অনুবাদ বারবার বলে, দেখে নাও আরো একবার
নির্জন ওয়েটিং রুমে কিছু ফেলে গেলে কিনা

সানগ্লাস খুলে বলো


বারবার যেতে চাই পুরোপুরি তোমার কাছে
কোনো অর্ধেক নয়, কোনো অংশত নয়, সম্পর্ণ তোমার কাছে
এই তুমিটা কে? বাজারি সানগ্লাস পরা একজন অজানা আগন্তুক
যাকে মনে করছি খুব চিনি, আসলে ষোল আনাই কি ফাঁকি
ফাঁকি দেয়া এক একটি মানচিত্রে যে যে প্রণয় ছবি আঁকা
শুন-শান ঝিম-ঝিম সেইসব সম্পর্ক কিছু তার মানে রাখে না
বারবার বারান্দায় এসে বলছে- দরজাটা খোলা রেখে গিয়েছ বলে
কালরাতে সম্পূর্ণ চুরি গেছে আপন সঞ্চয়ের সরল মাপকাঠি, শুধু
নেয়া হয়নি সেই অগ্নিপাত, যে তোমার বুকের ভেতরে করে বসবাস
আহা কী দুঃসাহস!
সানগ্লাস খুলে তুমি এই কথাটাই আরেকবার বল তো দেখি

ক্রসফায়ার


অপূর্ব এই ঝরে যাওয়া
বাতাসের সাথে সাথে তাল রেখে চল, নয় ঝরে যাও
যারা চোখ ও মনের শ্রুশ্রূষা জানে বলে মনে হয়েছিল
তাদের বুকে মরুভূমি খরাচর ঘন অন্ধকার
এসব জানতে গিয়ে নিজের গায়েও লেগেছে ধুলো
বিষপিঁপড়ের কামড়ে চুলকাতে চুলকাতে রক্তাক্ত
তবুতো জানা হল
ঈর্ষা ও করুণাই আজ ভালোবাসা। এইসব অভিনয়
ঝুঁকে ঝুঁকে কুয়ো জলে দেখে নেয় লুকানো স্বরূপ
জলাতঙ্ক রোগে ভুগেও সারাবেলা তৃষ্ণার চাপকল চাপা


মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।