সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়



ঘুণপোকাদের ক্লাবঘর


শরীর যেখানে থই পায় না
সেই অন্ধকার স্নায়ুজাল আমাদের বাঁচিয়ে রাখে
আর আমরা ভুলের খেসারত দিতে দিতে ভুল করি

জীবনের নুনই জীবনকে চালায়
নাকি জীবন
নুনের হিসেব লিখতে গিয়ে হারিয়ে ফেলে
শূন্যের দশমিক স্থান

এরকম দ্বিধা ও কুয়াশার যে বসতবাটি
যে জনপদ
আদার ব্যাপারী আর জাহাজের মায়া
তাকেই আমরা সংসার বলি
সম্পর্ক বলি
যৌনলেফাফা সেখানে একটানে খুলে ফেলা হয়
আর আঠার অভাবে দীর্ঘদিন
হাঁ-মুখ নিয়ে পড়ে থাকে

এর মধ্যে দিয়েই আমাদের ইতস্তত মিছিল
একা সিগারেট
মদ খাওয়ার আগের হুল্লোড় আর পরের চিৎকার

এর মধ্যেই আমাদের ফোন বাজে
আমরা ধরি
আমরা ধরি না
আমাদের অজুহাত আমাদের ছাপিয়ে ওঠে
বিষন্ন হবার কথায় হাসতে থাকি
আর হাসলে
সন্দেহ করতে শুরু করি

একটা পাথরের সংশয় তখন আমাদের কুরে খায়

একটা উই সরণী আমাদের মাথার লোভে ঘুরঘুর করে
ঘুণপোকাদের ক্লাবঘর রাতারাতি নীলসাদা  ভোল পাল্টে
শিরদাঁড়া বরাবর আড্ডা জমায়

তুমি খুন করতে পারছ না
তুমি আত্মহত্যা করতে পারছ না
তোমার নিজস্ব হ্যারিকেন
গাঁয়ের বটতলায় ভেঙে এসেছ
আর এসেই মেতে উঠেছ ক্ষয়ের উৎসবে
মেতে গেছ তরজায়
মেতে গেছে তর্জনী

ব্যবহার করছ ব্যবহৃত হচ্ছও
আর জল কিছু মনে রাখছে না বলেই
তাকে ভয়

যার স্মৃতি নেই সংবেদ নেই
নেই নিজস্ব চোখ অথবা চশমা
এরকম প্রলয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
তুমি কোন স্তোত্রগাথার কথা লিখবে
এরকম কোন উচ্চারণ করবে তুমি
যা হাওয়া ও আগুন বয়ে নিয়ে
সময়ের ধাতব কাঁটায় আছড়ে পড়বে

বন্দরে বন্দরে রাসায়নিক অভিযোজন চলছে
আর তুমি হাত রাখলে
গাছ ছাই হয়ে যায়...


মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, কার্তুজ'এর সঙ্গেই থাকুন।